১। সংবিধান
২। সংসদ
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ এবং সংসদের কার্য প্রণালীবিধি সংশোধন করে, উন্নয়নের দুর্বৃত্তপনা থেকে সরিয়ে সাংসদের দায়িত্বকে আইন প্রণয়ন, সরকারের জবাবদিহিতা এবং বাজেট অনুমোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হবে এবং প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদকে সংসদের কাছে দায়বদ্ধ করা হবে। এমপিরা যেন দলীয় প্রতিনিধি না হয়ে জনগণের প্রতিনিধি হিসাবে সংসদে গিয়ে জনগণের কল্যাণের জন্য আইন বানাতে পারেন সেজন্য সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হবে। এই অনুচ্ছেদ এমনভাবে সংশোধন করা হবে যাতে কোনো এমপি নিজের দলের বিরুদ্ধে আনা ‘অনাস্থা বিল’ ছাড়া অন্যান্য সকল বিলে বিচার-বিবেচনা করে প্রয়োজনে বিপক্ষে ভোট দিতে পারেন এবং এতে তার সদস্যপদ বাতিল না হয়। বিদেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন এমন কোনো ব্যক্তি এমপি বা মন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। এর জন্য সংবিধানের ৬৬ ও ৬৭ অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হবে।
এমপিদের কাজ হবে সংসদে জনগণের কল্যাণের জন্য আইন বানানো। কোনো রাস্তাঘাট-বিল্ডিং-ব্রীজ ইত্যাদি বানানো বা ধান-চাল-গম-টাকা ইত্যাদি বিলি-বণ্টনের মতো উন্নয়ন কাজে তারা যুক্ত হতে পারবেন না। প্রতিবছর এমপিদের ব্যক্তিগত এবং তাদের বৃহত্তর পরিবারের আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করা হবে এবং বৈধ আয়ের সাথে কারো অসঙ্গতি ও যোগসাজশ পাওয়া গেলে তার সদস্যপদ বাতিল করা হবে এবং একই সাথে অবৈধভাবে অর্জিত সকল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে শাস্তি দেওয়া হবে। এর জন্য সংবিধানের ৬৬ ও ৬৭ অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হবে।
সংসদে সরকারী দলের খবরদারী ও কর্তৃত্ব কমানো হবে। সকল সংসদীয় কমিটির প্রধান করা হবে বিরোধী দল থেকে। সংসদীয় কমিটিগুলো যাতে সত্যিকারে জনগণের প্রতিনিধি হয়ে নির্বাহী বিভাগের কাজের উপর নজরদারি করতে পারেন এবং জবাবদিহি চাইতে পারেন তার ব্যবস্থা করা হবে। বিরোধী দল যাতে দেশ ও জনগণের কল্যাণে সংসদে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে এর জন্য সংসদীয় ‘কার্যপ্রণালী বিধির’ ব্যাপক সংশোধন করা হবে এবং সংবিধানের ৭৬ অনুচ্ছেদ সংস্কার করা হবে।
জাতীয় নিরাপত্তা প্রশ্ন ব্যতীত জাতীয় সম্পদ ব্যবহার ও আন্তর্জাতিক সকল চুক্তি সম্পাদনের ক্ষেত্রে সংসদে আলোচনা বাধ্যতামূলক করা হবে। এর জন্য সংবিধানের ১৪৪ এবং ১৪৫ অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হবে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, জ্বালানী, যোগাযোগ, প্রযুক্তিসহ রাষ্ট্রের সকল খাতে উন্নয়নের নামে লুটপাটের যেসব ব্যবস্থা আছে, দায়মুক্তির যেসব আইন আছে তা সম্পূর্ণ বাতিল করা হবে। রাষ্ট্রের সকল খাতে ইতিপূর্বে যেসব প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যেসব চুক্তি করা হয়েছে জাতীয় স্বার্থে সেগুলোর জরুরী ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
‘পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ’-এর অনুবাদ ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ থেকে পরিবর্তন করে ‘গণক্ষমতাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ করা হবে। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, সীমানা এবং সাগর-নদী-পানিসহ রাষ্ট্রীয় সকল সম্পদ রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে বিদেশী হস্তক্ষেপ, বিদেশী বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রতি নতজানু নীতি, দেশের সম্পদ বিদেশীদের হাতে তুলে দেবার মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকা, আর দেশের ভিতরে বিভেদ জিইয়ে রেখে বাংলাদেশকে অন্য দেশের ভূ-রাজনৈতিক ক্ষমতার পুতুল বানানোর রাষ্ট্রনীতি পরিত্যাগ করা হবে। সকল রাষ্ট্রের সাথে সমমর্যাদার ও সমঅধিকারের রাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করা হবে। রাষ্ট্র কখনো এমন কোনো আইন, আদেশ বা ফরমান বানানো, অনুমোদন বা জারী করতে পারবে না যা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বকে খাটো করে।
৩।স্থানীয় সরকার
৪। নির্বাচন
৫। আইন,বিচার এবং প্রশাসন
৬। মৌলিক অধিকার
৭। অর্থনীতি
