মার্কসীয় দর্শন সম্পর্কে সুতীব্র বিতর্কের কাল : এতিয়েঁন বালিবারের সাক্ষাৎকার

সেই সময়ের একটা ধারণা দিতে হলে ,আমি সার্ত্রের বই প্রকাশিত হওয়ার পরের বছর অর্থাৎ ১৯৬১ সালকে উল্লেখ করবো। সেই বছর “সোমেন দো লা পঁসে মাক্সিস্ত”-এর মূল ঘটনা ছিল বিতর্ক যার একদিকে ছিলেন সার্ত্রে এবং জঁ ইপ্পোলিৎ, অন্যদিকে ছিলেন রজার গারুদি এবং জঁ-পিয়ের বিজিয়া। এদের মধ্যে প্রখ্যাত হেগেল বিশেষজ্ঞ জঁ এপ্পোলিৎ ছিলেন আমাদের এক্যোল নরমেল সুপিরিয়রের পরিচালক, রজার গারুদি দর্শন বিষয়ে ফরাসি কমিউনিস্ট পার্টির (Parti communiste français, সংক্ষেপে PCF) আনুষ্ঠানিক ধারার প্রতিনিধিত্ব করছেন এবং জঁ-পিয়ের বিজিয়া ছিলেন প্রতিরোধ যোদ্ধা, পদার্থবিদ, দার্শনিক এবং পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।

বিজেপির সাম্প্রদায়িক মিশন এবং আমাদের করনীয়

হাসনাত কাইয়ূম পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে বিজেপি বাংলাদেশকেই প্রতিপক্ষ হিসাবে দাঁড় করিয়েছে। সিএএ কার্যকর করার অঙ্গীকারকেও তারা অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে তুলে ধরছে। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার রাজনীতিতে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতাকে নৃশংসভাবে ব্যবহারের ব্রিটিশ এবং ব্রিটিশোত্তর মডেলকে...

নিওলিবারেল জমানার অবসান হচ্ছে। কী আসছে এরপর?

আসলে এভাবে পরিবর্তন আসেনা। সব মানুষের আলাদা আলাদা কাজ রয়েছে। শিক্ষক এবং নৈরাজ্যবাদী, যোগাযোগকারী বা আন্দোলনকারী, উষ্কানী দাতা এবং শান্তির অগ্রদূত, যিনি খটোমটো একাডেমিক লেখা লিখছেন, আর যে অনুবাদক সেটা সহজ করে সবার কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন, যে মানুষগুলো ঘটনার বাইরে থেকে তদবির করছে, আর যাদের দাঙ্গা পুলিশ টেনে হিঁচড়ে হাজতে পুরছে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।

নম্যাডোলজি বনাম হাজেরাবাদ

পারভেজ আলম ফরাসি দার্শনিক জিল দ্যলুজের একটা বিখ্যাত লেখা আছে “সোসাইটি অফ কন্ট্রোল নামে” (বাংলা অনুবাদ)। মিশেল ফুকো বর্ণিত ডিসিপ্লিনারি সোসাইটি বা শৃঙ্খলার সমাজের ধারণা যে আমাদের সময়ে যথেষ্ট না,...

‘অল দ্যা প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান’ এবং আমি যখন জনতার লোক

যে প্রশ্নটি এরা কেউ তুলছেন না সেটা হচ্ছে ভিডিও ডকুমেন্টটাতে সুনির্দিষ্ট যে তথ্যগুলো সামনে আনা হয়েছে তার সত্যতা কতটুকু? বিশিষ্টজন হিসেবে যে কাজটি তার করতে পারতেন, কিন্তু করলেন না, সেটা হচ্ছে বাস্তবতার নিরিখে ডকুমেন্টটির রাজনৈতিক পর্যালোচনা।

৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন: একটি সাংবিধানিক বোঝাপড়া

এজন্য, যতক্ষণ পর্যন্ত না রাষ্ট্রের এই ক্ষমতা-বিন্যাসে চেক এন্ড ব্যালেন্স আনা যাচ্ছে, সাংবিধানিক একচেটিয়া ক্ষমতার অবসান ঘটানো না যাচ্ছে; যিনিই প্রধানমন্ত্রী, তিনিই আইনসভার প্রধান, তিনিই সরকারি দলেরও প্রধান এই ব্যবস্থার পরিবর্তন করা যাচ্ছে, আইনসভা, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের সেপারেশন ও পরস্পরের কাছে দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা যাচ্ছে ;

ইতিহাসে ব্যক্তির ভূমিকা: ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান ও শহিদ মতিউর

রাজনৈতিক প্রক্রিয়াই কেবল সাধারণ মানুষকে লড়াকু সৈনিকে বদলে দিতে পারে। ঊনসত্তরের বাংলাদেশ সেই সোনালি সময় উদযাপন করেছে। চেনা মানুষগুলো অচেনা হয়ে সম্ভবপর করেছে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল মুহূর্ত। কিশোর শহিদ মতিউর সেই প্রক্রিয়ারই ফসল, আবার একই সাথে সে প্রক্রিয়ার অন্যতম প্রধান নির্মাতা।

ফুকো দিয়ে করোনাভাইরাস মহামারীকে বুঝা?

তদপুরি ফুকোর মতে, আধুনিকতার শুরুর দিকে কুষ্ঠ মডেল প্লেগের ভয় থেকে উদ্ভুত ক্ষমতার নতুন মডেল দ্বারা বাতিল হয়েছে। ফুকো তাঁর এই মডেল বিস্তৃত করেন তাঁর ১৯৭৫ সালের Discipline and Punish: The Birth of the Prison বইতে।সেখানে তিনি যুক্তি দেন, সতের শতক থেকে ক্ষমতার নতুন এক রেজিম হাজির হয়: ডিসপ্লিনারি পাওয়ার। যারা স্বাভাবিক নয় [ডেভিয়েন্ট] তাদেরকে এখন আর সহজভাবে বর্জন করা হলো না, বা আটকেও রাখা হলো না। বরঞ্চ এর বদলে শিশু, সৈনিক, কর্মী, কয়েদী, গরীবসহ ‘সবাই’ কঠোর শৃঙ্খলার শিকার হলেন। শৃঙ্খলার কঠোর কাজের অনুশীলন হিসাবে এটা এভাবে তাদের শরীরকে ‘উৎপাদনক্ষম করে তোলে’।

নয়া-উদারবাদ একটি রাজনৈতিক প্রকল্প : ডেভিড হার্ভে

সব মিলিয়ে আমি মনে করি, এই পর্বটা সংজ্ঞায়িত ভাবাদর্শ ও রাজনীতির অনেক ফ্রন্টের একটি বিস্তৃত গতিশীলতা দিয়ে। আপনি এই বিস্তৃত গতিশীলতাকে কেবল একটি পথেই ব্যাখ্যা করতে পারেন। সেটি হল কর্পোরেট পুঁজিপতি শ্রেণির উচ্চ মাত্রার সংহতি বুঝতে পারা। পুঁজি তার আর্থিক সম্পদ ও প্রভাব পুনরুদ্ধারের বেপরোয়া চেষ্টায় তার শক্তিকে পুনর্গঠিত করেছে। ১৯৬০ দশকের শেষ থেকে ১৯৭০ দশকে এই শক্তি মারাত্মকভাবে দুর্বল হয়ে গিয়েছিল।