আসলে এভাবে পরিবর্তন আসেনা। সব মানুষের আলাদা আলাদা কাজ রয়েছে। শিক্ষক এবং নৈরাজ্যবাদী, যোগাযোগকারী বা আন্দোলনকারী, উষ্কানী দাতা এবং শান্তির অগ্রদূত, যিনি খটোমটো একাডেমিক লেখা লিখছেন, আর যে অনুবাদক সেটা সহজ করে সবার কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন, যে মানুষগুলো ঘটনার বাইরে থেকে তদবির করছে, আর যাদের দাঙ্গা পুলিশ টেনে হিঁচড়ে হাজতে পুরছে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
এত কিছুর পরেও কেমনে বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ট্যাক্স দেয় না? আপনাদের লজ্জা করে না? মানুষ যে টাকা দেয় তার বিপরীতে প্রদত্ত সেবার মান না বাড়লে বাড়তি ট্যাক্স চাওয়া অবৈধ।
গল্পের মত ঠাস বুননে যে সব কথা বলা হয়েছে তাতে মনে হয়েছে – প্রবৃদ্ধি হচ্ছে মোক্ষ, নির্বাণ; সব কিছুর আরাধ্য হচ্ছে প্রবৃদ্ধি। কার জন্যে প্রবৃদ্ধি সেটা বড় কথা নয়।
যারা মনে করেন ‘আইনের শাসন’ লাগবে তাদের মনে করিয়ে দেয়া যেতে পারে, এই চুরি-লুটপাটের পুরো ব্যবস্থাটা কিন্তু চলছে ‘আইনি’ পথেই। বাংলাদেশের মানুষ যেদিন এই রাষ্ট্রের চোখে চোখ রেখে এদের চালু করা এই আইনের শাসনকে চ্যালেঞ্জ করবে, প্রয়োজনে এইসব আইনকে উপেক্ষা করে বলবে এইগুলা বদলাও নয়তো ট্যাক্স-ভ্যাট বন্ধ করে দেবো, সেদিনই ফ্যাসিবাদ নড়েচড়ে বসবে।